বাজারগুলো চাঁদাবাজমুক্ত করতে এবং অতিরিক্ত মূল্য রোধে রাজধানীসহ সারা দেশেই বাজারগুলোতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
এতে অনেকটাই কমেছে মুরগি, ডিম, মাছ ও সবজির দাম। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বেড়েই চলেছে চালের দাম। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজারে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) সব ধরনের চালের দাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি কেজি চিকন চাল (মিনিকেট) মানভেদে ৭২ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ব্রি-২৮ ও পাইজাম চাল প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬২ টাকায় এবং নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির গতকাল বাজারদর প্রতিবেদনে দেখা যায়, সরু বা চিকন চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭৮ টাকা। পাইজাম চাল কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।
এদিকে রাজধানীতে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা ডজন।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমছে। সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁপে, ১৫-২০ দিন আগে পেঁপের কেজি ছিল ৭০ টাকা। একইভাবে পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। এতদিন এসব সবজির দাম ছিল ৭০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা দেখা গেছে বরবটি, বেগুন ও শসার কেজি। সপ্তাহ তিনেক আগেও এসব সবজির কেজি ১৫০ টাকা ছুঁয়েছিল। তবে এখনো চড়া কাঁচা মরিচের দাম। কোথাও ২০০ আবার কোথাও ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ। পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে রসুন। দেশি রসুন কেজি ২২০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকায় এবং বড় দানার মসুর ডাল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
সূত্র- দেশ রূপান্তর