চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া পেকুয়ার বাসিন্দা ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ও চকরিয়া-পেকুয়ার ১৯জনসহ ২৫৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেননি হত শিক্ষার্থী ওয়াসিমের মা জোসনা আক্তার।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করা হয়, গত১৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বাদী জোসনা বেগমের ছেলে ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেন। মামলার আসামিদের নির্দেশে ও নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের তার ওপর হামলা করা হয়। এ সময় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই সময় ওয়াসিমের বুকে ও নাভীতে গুলি করলে ঘটনাস্থলে নিহত হন। মামলার অপর আসামীরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম নাছির উদ্দীন ও মহানগর ছাত্রলীগের বরখাস্ত হওয়া সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জামালখান ওয়ার্ডের শৈবাল দাশ সুমন, রামপুর ওয়ার্ডের আবদুস সবুর লিটন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড চান্দগাঁওয়ের এসরারুল হক এসরারুল, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারক আলী, পূর্ব বাকলিয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন অর রশীদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোরশেদুল আলম, ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নুর মোস্তফা টিনু, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফুল আলম, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন, আন্দরকিল্লার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড জহরলাল হাজারী, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লব, দক্ষিণ হালিশহর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হক সুমন, পাথরঘাটা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুলক খাস্তগীর, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নুরুল আলম মিয়া, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ওয়াসিম, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুস সালাম মাসুম। যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এনএইচ মিন্টু, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ চান্দগাঁও থানার সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ- সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর নবী সাহেদ, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের শহীদুল ইসলাম, মোহরা ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাগর দাস, চকবাজার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জিএম তৌসিফ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড চকবাজার ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন ইভান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিহান আলী খান, শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সম্পাদক জসিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ, চট্টগ্রাম মহানগর চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ভিপি মো. তাহসিন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড চকবাজার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান রাসেল, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম, মো. ফিরোজ, বায়েজিদ বোস্তামী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইল, আন্দরকিল্লা ময়নামতি গলির মো. দেলোয়ার, গোয়ালপাড়ার মোহন ঘোষ ও ভূবন ঘোষ, চান্দগাঁও বাড়ইপাড়ার মো. আলী, এনায়েত বাজারের আরহাম খান, জামালখানের ইসমাইল উদ্দিন লিটন, এনায়েত বাজারের মো. মোরশেদ, শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির দৌলত খান, কালামিয়া বাজারের এনামুল হক মানিক, চান্দগাঁও জয়লিপাড়ার নুর মোহাম্মদ, জোরারগঞ্জ বারৈয়ারহাটের মো. সোহেল প্ৰকাশ ফুন্টস্ সোহেল, মেডিকেল প্রবর্তক মোড়ের নেজাম উদ্দিন, কাপ্তাইয়ের আমজাদ হোসেন, ইরফানুল আলম তুষার, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল, যুবলীগ ক্যাডার মহিউদ্দিন ও মো. জাফর, ৪ নম্বর লেন হালিশহরের মো. আলী সাহেদ, কালামিয়া বাজারের মহিম আজব, শান্তিনগর, মমিন কলোনীর মো. ইলিয়াছ সরকার, বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়ার মো.আলী ও মো. ইসহাক, গোলপাহাড়ের যুবলীগ ক্যাডার মো. মাসুম, শাহ আমানত মাজার গেইটের মহিউদ্দীন শাহ, হাটহাজারীর আবছার উদ্দীন, পাঁচলাইশ মোহাম্মদপুরের আজিজ খান ববি, মোহাম্মদপুরের মামনুর রশিদ মামুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ ক্যাডার তোসাদ্দেক চৌধুরী তপু, হাটহাজারী বড়ুয়া পাড়ার মুড়া সোহেল বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া লালানগরের জসিম উদ্দীন তালুকদার, শুলকবহর ওয়ার্ডের যুবলীগ ক্যাডার শাহাদাত হোসেন রুবেল, চান্দগাঁওয়ের যুবলীগ ক্যাডার মো. জালাল প্রকাশ ড্রিল জালাল ও মো. ফরিদ, চান্দগাঁওয়ের যুবলীগ ক্যাডার এইচএম মিটু, মো. জাফর, ও মো. ফিরোজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্যাডার মো. দেলোয়ার, ইরফানুল আলম তুষার।
চকরিয়া-পেকুয়া থেকে ওয়াসিম হত্যা মামলায় আসামী হলেন যারা এদিকে ওয়াসিম হত্যার ঘটনায় একই মামলায় চকরিয়া-পেকুয়া থেকে সাবেক সাংসদ জাফর আলম, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনকে আসামী করা হয়েছে।
অপর আসামীরা হলেন, পেকুয়া মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, পেকুয়ার টৈটং ইউনিয়নের জাহেদুল ইসলাম, পেকুয়া উজানটিয়ার চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম, রাজাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বারেক, যুবলীগ নেতা আজমগীর, পেকুয়া মগনামার কাজী আফসার চৌধুরী লিটন, চকরিয়া কোনাখালীর মোহাম্মদ রাশেদ, চকরিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার আব্দুল্লাহ আল আকিন, চকরিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল করিম, চকরিয়া বরইতলীর নজরুল ইসলাম, মনকিরচরের বদিউল আলম, কোনাখালীর চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম সিকদার, চিরিঙ্গার জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ডুলাহাজারার চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর, সাহারবিলের চেয়ারম্যান নবী হোসেন।
উল্লেখ্য: ১৬জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ঘাতকের গুলিতে প্রাণ হারান ওয়াসিম। নিহত ওয়াসিম আকরাম কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মেহেরনামা বাজার পাড়ার সৌদি প্রবাসী শফিউল আলমের ছেলে। চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এই শিক্ষার্থী কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।