পেকুয়া সংবাদদাতাঃ পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়ের পুরাতন ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন জায়গা জবর দখল নিতে রাতের আঁধারে আবুল হাসেম ও টইটং ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন এর নেতৃত্বে ২০/৩০ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে সেলিম উদ্দিনের দীর্ঘ বছরের পৈত্রিক ওয়ারিশী প্রাপ্ত দখলীয় নাল জায়গা উচ্ছেদ করতে হামলা চালিয়ে জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
হামলায় আহতরা হলেন, মৃত একেরাম মিয়া ছেলে মোঃ সেলিম,তার ছোট ছেলে মোঃ আসিফ (১৪), আরফাত(২১)।
গত ০৫ আগষ্ট আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে এঘটনা ঘটে। এঘটানায় ভুক্তভোগী সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে আবুল হাসেম, সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সাথে অজ্ঞতানাম ২০/৩০ জনকে আসামী করে পেকুয়া দায়ত্বরত সেনা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন।
অভিযোগে সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে আমার পৈত্রিক ওয়ারিশী প্রাপ্ত জায়গা থেকে সেলিম উদ্দিনকে চিরতরে উচ্ছেত করার জন্য জবর দখলের অপচেষ্টার মাধ্যমে নানা ধরনের ঘটনা সংঘটিত করে আর্থিক- মানসিক হয়রানি করে আসছে এবং এখনো চলমান রয়েছে । এবিষয়ে বিজ্ঞ যুগ্ন জেলা জজ ২য় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, যার কক্সবাজার অপর মামলা নং-১১৭/২০২২।
ভুক্তভোগী সেলিম উদ্দিন বলেন, তারা আদালতে নোটিশের কোন তোয়াক্কা না করে আদালতে উপস্থিত না হইয়ে উল্টো আমার পরিবারের উপর বেশ কয়েকবার হামলা করে এমনকি রক্তপাতের মত ঘটনা করতে থাকে প্রতিনিয়ত।
আরো বলেন, বর্তমান চলমান দেশের কোটা সংষ্কারের আদোলনের অরাজক পরিস্থিতির সুযোগে রাজনৈতিক দল বিএনপির ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারা বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে গত ০৫ আগষ্ট রাত নয়টা দিকে লোহার রড, ধারালো কিরিচ, দেশীয় তৈরি অগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের ভোগ দথলীয় নাল জায়গা উপর অনাধিকার প্রবেশ করে। তারা জোরপূর্বক সিমানার চতুর পাশে টিনের গিরা দিয়ে জবর দখল কওে নেন। এতে থেমে নেয় আবার গত ১০ আগষ্ট রাত ১০ টার দিকে সন্ত্রাসী বাহিনি নিয়ে কুটির ঘর নির্মাণের মালামাল নিয়ে অনুপ্রবেশ করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তাদেরকে আমি ও আমার স্ত্রী, ছোট ছেলে, বড় ছেলে সহ গিয়ে তাদের নির্মাণ কাজের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করতে গেলে ১নং আসামী আবুল হাসেম মোবাইল ফোনটা কেড়ে নেন, এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। এবং তার হাতে থাকা দারালো কিরিচ দিয়ে আমাকে কুপিয়ে মারাত্ক ভাবে আঘাত করে। পরে তার ভাড়াটিয়া সস্ত্রাসী বাহিনিরা আমাদের সবাইকে পিটিয়ে, কুপিয়ে বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে। পরে আমাদের সু-চিৎকার শুনে আশপাশ্বে লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে য়ায়। স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করান।
বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহনীতায় ভোগছি। তিনি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তরক্ষপ কামনা করেন।
এবিষয়ে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, এঘটানা সাথে আমার কোন সর্ম্পক নাই, আর থাকার কথাও না ঔ জায়গায় আমার কোন সম্পত্তি নেই। আর গত ৫ তারিখ ঘটানার সময় আমি আমাদের দলীয় নেতা কর্মী নিয়ে পেকুয়ায় বিএনপির পাটি অফিসে ছিলাম। তারা কেন আমাকে অভিযোক্ত করলো জানিনা ,তারা আমার নামে মিথ্যাচার করছে।এসব কর্মকাণ্ডে আমি কোন ভাবে লিপ্ত ছিলামনা।